বাংলাদেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতি সবসময় মুক্তচিন্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলে এসেছে। এ ধারাবাহিকতায় সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় বইমেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের ইতিহাস সাক্ষী—ভাষার জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি, স্বাধীনতার জন্য লড়েছি এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছি।
তবে দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, দমনমূলক শাসন ব্যবস্থার অধীনে আমাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতি নানা বাধার সম্মুখীন হয়। মুক্তচিন্তার ওপর বারবার দমন-পীড়ন নেমে এসেছে। যখন লেখক ও বুদ্ধিজীবীরা স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে চেয়েছেন, তখন কর্তৃত্ববাদী শক্তি তাদের রুদ্ধ করার চেষ্টা করেছে।
বিএনপি বিশ্বাস করে, একটি গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা ছাড়া সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশ সম্ভব নয়। আমাদের লক্ষ্য হলো এমন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে মুক্তচিন্তা, সৃজনশীলতা ও সাহিত্যচর্চা হবে অবাধ ও বাধাহীন। আমরা চাই, বইমেলা হোক মুক্তচিন্তার প্ল্যাটফর্ম, জ্ঞান-বিনিময়ের কেন্দ্র এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতীক।
শুক্রবার বিকেলে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত বইমেলা পরিদর্শন করেন জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। মেলার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক মঞ্চে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, “বই মানুষের প্রকৃত বন্ধু। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে বইয়ের কোনো বিকল্প নেই। বর্তমান প্রজন্মকে জ্ঞানের পথে এগিয়ে যেতে হলে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, উপদেষ্টা হেলাল উদ্দিন আহমদ, জেলা বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মাহবুব আলমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, কলেজের শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা।
বক্তারা শিক্ষার্থীদের বই পড়ার প্রতি আগ্রহী হওয়ার আহ্বান জানান এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে বইমেলার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠান শেষে জেলা বিএনপির সভাপতি বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। আয়োজকরা জানান, এ ধরনের বইমেলা শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিধি সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।